স্থপতি মাজহারুল ইসলাম তাঁর কর্মের মাধ্যমে সকলের মাঝে বেঁচে আছেন : খুবি উপাচার্য

0
16

খুবি সংবাদদাতা
বাংলাদেশের স্থাপত্য পেশা চর্চার পথিকৃৎ, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন স্থপতি মাজহারুল ইসলামের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) খুলনা শাখার উদ্যোগে ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগিতায় ৪ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অদম্য বাংলা চত্বরে চার দিনব্যাপী এক প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। বিকাল ৩টায় ফিতা কেটে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন।
এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, স্থপতি মাজহারুল ইসলাম তাঁর কর্মের মাধ্যমে সকলের মাঝে বেঁচে আছেন। তিনি স্থাপত্যকে মানুষের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করেছেন। পরিবেশবান্ধব স্থাপত্যকে গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি তাঁর কাজ দিয়ে বুঝিয়েছেন মানুষের জন্য যে স্থাপত্য সেটাই প্রকৃত স্থাপত্য। তিনি আরও বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও তাদের কর্মের মাধ্যমে দেশ-বিদেশে সুনাম ও খ্যাতি অর্জন করেছেন। এ ধরনের একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যেও তাঁর মতো একজন খ্যাতিমান-গুনী স্থপতি হওয়ার ইচ্ছা তৈরি হবে। তিনি এই প্রদর্শনীর আয়োজন করায় ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশ (আইএবি) এবং স্থাপত্য ডিসিপ্লিনকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. শেখ সিরাজুল হাকিমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তৃতা করেন আইএবি খুলনা শাখার আহ্বায়ক ও স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক গৌরী শঙ্কর রায়। এ সময় আইএবি খুলনা শাখার সদস্য সচিব ও স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক এস এম নাজিমুদ্দিন, কেন্দ্রীয় সেমিনার এন্ড কনভেনশন সম্পাদক সাবরিনা আফতাব, খুলনা শাখার সদস্য শামসুজ্জোহা কাজল, মো. ইবাদুল শেখ, জিনিয়া হক পিংকি, সরদার শাকিল আহমেদসহ স্থাপত্য ডিসিপ্লিনের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও আইএবি’র বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, স্থপতি মাজহারুল ইসলামের দর্শন ও স্থাপত্য ভাবনাকে নতুন প্রজন্মের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেই বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট তার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রদর্শনীতে জায়গা পেয়েছে মাজহারুল ইসলামের বিভিন্ন স্থাপত্য নকশার ছবি, বিভিন্ন ব্যক্তির কথা, স্মৃতিচারণা।