ধর্ষণের পর মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা, গ্রেফতার ৪

0
38

প্রতিদিনের ডেস্ক
রাজশাহীর চন্দ্রিমায় ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইল করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার সময় চার জনকে আটক এবং ভিকটিমকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাব-৫ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেফতার চার জন হলো, এ ঘটনার মূলহোতা নগরীর বোয়ালিয়া থানার হেতেমখাঁ সবজিপাড়া এলাকার আলমগীর রয়েল (৪০), তার স্ত্রী হেলেনা খাতুন (৩০), হেলেনার বড় বোন দিলারা বেগম (৩৫) এবং তাদের সহযোগী চন্দ্রিমা থানার উপরভদ্রা এলাকার আফজাল হোসেনের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৪২)।
র‌্যাব-৫ সদর দফতরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, বুধবার ভুক্তভোগী ওই নারী কেনাকাটার জন্য নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার হড়গ্রাম কোর্টস্টেশন এলাকায় যান। একপর্যায়ে সেখানে তার মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। এ সময় পূর্বপরিচিত আলমগীর তাকে মোবাইল ফোন পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে নগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে সুযোগ বুঝে তাকে ধর্ষণ করে আলমগীর।
র‌্যাব অধিনায়ক আরও জানান, ওই বাড়িতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিল আলমগীরের স্ত্রী হেলেনা খাতুন, তাদের সহযোগী দিলারা বেগম ও মমতাজ বেগম। তারা গোপনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। এরপর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ভুক্তভোগী নারীর কাছে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে। সেই সঙ্গে তাকে আটকে রাখে।
ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে খবর পেয়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে র‌্যাবের একটি দল। এ সময় ওই বাড়ি থেকে আলমগীর ও তার স্ত্রী হেলেনাসহ চার জনকে গ্রেফতার করা হয়। আলমগীরের বিরুদ্ধে আগেও নারী ও শিশু আইনে একটি মামলা আছে।