ইশরাকের জামিন আবেদন

0
15

প্রতিদিনের ডেস্ক:
২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় হঠাৎ করে হাজির হয়ে বক্তব্য রেখে আলোচনায় আসা মিয়ান আরাফির সংবাদ সম্মেলন ও নাশকতাসহ রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ১৩ মামলায় জামিন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ইশরাক হোসেনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান এ আবেদন করেন।এ বিষয়ে আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি ) হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চে দুপুর ২টার পর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করে সংশ্লিষ্ট সূত্র। মিয়ান আরাফি গণমাধ্যমের কাছে নিজেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে দাবি করেন এবং সেই সুরেই বক্তব্য রাখেন। পরে মিয়ান আরাফির বক্তব্যের দায় নিতে অস্বীকার করে বিএনপি। ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসও জানায়, মিয়ান আরাফি নামে তাদের কোনো প্রতিনিধি বিএনপি কার্যালয়ে যায়নি। এরপর কথিত মিয়ান আরাফিকে খুঁজতে শুরু করে পুলিশ। পরদিন আটক করা হয় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে। মিথ্যা পরিচয় দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কথিত মিয়ান আরাফি জানান, তাকে বাসা থেকে কয়েকটি বিষয় শিখিয়ে পড়িয়ে এনে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।তিনি পুলিশকে জানান, বিএনপির পার্টি অফিসে হাসান সারওয়ার্দী (সাবেক সেনা কর্মকর্তা) বিএনপির নেতা অ্যাডভোকেট বেলাল ও ইশরাক হোসেন তাকে বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। আসলে এটি সত্য নয়। তারা (বিএনপি) মিথ্যাভাবে তাকে উপস্থাপন করেছেন। মিয়ান আরাফির প্রকৃত নাম জাহিদুল ইসলাম বেল্লাল। থাকেন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে। মাঝে মাঝে দেশে আসেন তিনি। সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের মানিকদিয়া গ্রামে তার বাড়ি। ছোটবেলাতেই পরিবারের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়ায় এলাকার কারো সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। বেল্লাল পুলিশকে আরও জানান, হাসান সারওয়ার্দী তাকে বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। আসার আগে তিনি সে দিনের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতেন না বলে দাবি করেন। তাকে কী বলতে হবে, সেটা শিখিয়ে দেওয়া হয়। পরে তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন। এজন্য পুলিশের কাছে দুঃখপ্রকাশও করেছেন তিনি।