বাগেরহাটে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশ

0
18

কামরুজ্জামান মুকুল, বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়ায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী হত্যারদায়ে বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার বিকেলে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-১ এর বিচারক এস এম সাইফুল ইসলাম আসমাীর উপস্থিতিতে এই রায় দেন। একই সাথে আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই মামলার অন্য চার আসামীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকার কচুয়া উপজেলার গজালিয়া গ্রামের বাবুল কর্মকারের ছেলে। মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর উপজেলার মঠবাড়িয়া থানার চরকাছারিয়া সুবোধ কুমারের মেয়ে সেতু রানিকে আসামি বাসুদেব শাহসহ কয়েকজন অপহরণ করে বিবাহ করেন। পরবর্তীতে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বসবাস করে। পরে এলাকায় এসে বসবাস করতে থাকে এবং স্বর্ণের ব্যাবসা শুরু করে। তার স্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে এবং পিতার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে টাকা গ্রহন করে। গত ৬ আগষ্ট ২০০৬ সালে ৮ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ সৎকারের পর ৮ আগষ্ট কচুয়া থানায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে দির্ঘদিন ঘুরিয়ে মামলা নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। পরবর্তীতে একই বছর ২ সেপ্টেম্বর নিহতের পিতা সুবোধ কুমার আদালতে মামলা ৪ জনকে আসামি করে। মামলাটি পিবিআই তদন্ত শেষে ৪ মার্চ ২০২০ সালে ৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করে। আদালত ৯ জনের স্বাক্ষ্য শেষে আসামি বাসুদেব ওরফে বাপ্পি কর্মকারকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অন্য আসামীদের অব্যাহতি দেন। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট শাহী আলম বাচ্চু এবং বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌশলী সিদ্দিকুর রহমান।