বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা-দেবীতলার সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো সম্বল

0
12

তুরান হোসেন রানা, বটিয়াঘাটা
বটিয়াঘাটার বয়ারভাঙ্গা-দেবীতলার দু’পাশে খড়েরখালে সেতু না থাকায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছেন এলাকার হাজারো মানুষ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ বিষয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খড়িয়ার খালের দুই পাশের প্রায় ৮/১০টি গ্রামের হাজারো লোকের বসবাস। দু’পাশের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র ভরসা ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের দীর্ঘ সাঁকো। বিকল্প কোন পথ না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন গ্রামবাসী। এলাকাবাসী বহুদিন ধরে খালের ওপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন। কিন্তু আজও সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয়রা কয়েক মাস পর পর নিজ খরচে সাঁকোটি মেরামত করে আসছেন। প্রায় ১৫০-২০০ ফুট দৈর্ঘ্যের বাঁশের এ সাঁকোটি যেন আশ-পাশের দশ গ্রামবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্থানীয়রা জানান, এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ব্রিটিশ আমল পেরিয়ে স্বাধীনতার পর থেকে ওই খাল পেরিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী সহ জনসাধারন যাতায়াত করে আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন মাঠের ফসল নিয়ে কৃষকেরা এ সাঁকো পার হয় দূর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। সাঁকোটির দক্ষিণ পাশে রয়েছে খগেন্দ্রনাথ মহিলা কলেজ, বয়ারভাঙ্গা বিশ্বম্ভর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাসমোহন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, আন্ধারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তর পাড়ে রয়েছে দেবীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ একাধিক মন্দির ও জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। ছোট ছোট কোমলমতি শিশুরা এ নড়বড়ে সাঁকো পারা পারে প্রায়ই দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। তাছাড়া মুমূর্ষু রোগীদের হাসপাতালে আনা নেওয়ার সময় বিপাকে হয় স্বজনদের। ভোগান্তি দুর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী। কথা হয় স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জয় বিশ্বাস নামে ব্যক্তির সাথে। তিনি বলেন, আমাদের এই ভোগান্তি কেউ দেখতে আসেন না। কতবার কত লোক এসে মেপে-ঝেঁপে গেলো কিন্তু কাজের বেলায় কিছুই হয় না। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আসলাম হোসেন জানান, সাঁকোটি দিয়ে যাতায়াত করতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। বড় ধরণের অর্থায়ন ব্যায়ের ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের থাকে না বিধায় সেতুটি নির্মাণ করা সম্ভব হচ্ছে না।