ফ্রি মেসেজিংয়ে সেরা কিছু অ্যাপ

0
13

প্রতিদিনের ডেস্ক:
যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যম বা উপায়ের মধ্যে লেখা অন্যতম। আগে চিঠি লেখা হলেও এখন মোবাইলের মেসেজ অপশন সে জায়গা দখলে নিয়েছে। বর্তমানে প্রচলিত অধিকাংশ মেসেজিং অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা, বিনামূল্যে বার্তা পাঠানো ও কল করার ফিচার রয়েছে। তবে প্লে স্টোরে বেশকিছু অ্যাপ রয়েছে যেগুলো সহজে অ্যান্ড্রয়েড, আইওএস ও উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার করা যাবে।
বিশ্বজুড়ে টেক্সট পাঠানোর জন্য ওভার দ্য টপ (ওটিটি) পরিষেবা ব্যবহার করা হয়। এদিক থেকে ইন্টারনেটনির্ভর ওটিটি অ্যাপগুলোর জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। এদিক থেকে কিছু অ্যাপ রয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ: বিশ্বে প্রচলিত বিভিন্ন ওটিটি মেসেজিং অ্যাপের মধ্যে মেটা মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ বেশ জনপ্রিয়। ২০১০ সালের ১৮ অক্টোবর এটি আত্মপ্রকাশ করে। উন্নত টেক্সটিং সুবিধার পাশাপাশি অ্যাপটি থেকে ভয়েস ও ভিডিও কল করা যায়। এছাড়া অ্যাপটিতে গ্রুপ চ্যাট ও কমিউনিটিজ ফিচার রয়েছে। ১০ কোটির বেশি ব্যবহারকারী থাকলেও প্লাটফর্মটি ব্যবহারে কোনো সমস্যা হয় না। সেলফোনের পাশাপাশি এর ডেস্কটপ অ্যাপও রয়েছে।
ফেসবুক মেসেঞ্জার: হোয়াটসঅ্যাপের তুলনায় মেসেঞ্জারে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। শুধু ব্যবহারকারীর দিক থেকে ফেসবুক এগিয়ে, এর সঙ্গে মেসেঞ্জার যুক্ত। যুক্তরাষ্ট্রে প্লাটফর্মটির ৬৫ শতাংশ ব্যবহারকারী রয়েছে। এছাড়া মেসেঞ্জার ব্যবহারের জন্য হোয়াটসঅ্যাপের মতো নাম্বার প্রয়োজন হয় না।
টেলিগ্রাম: প্রযুক্তিবিশারদদের মতে, টেলিগ্রাম অনেকটা হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জারের মতো। এতে টেক্সট মেসেজিং, ভয়েস ও ভিডিও কলিংসহ মাল্টিমিডিয়া ফাইল শেয়ারের সুবিধাও রয়েছে। টেলিগ্রামের গ্রুপে দুই লাখের বেশি সদস্য যুক্ত করা যায় এবং এতে চ্যানেলও রয়েছে। আরো বেশি ফিচারের জন্য এতে প্রিমিয়াম প্ল্যানও রয়েছে।
শর্ট মেসেজ সার্ভিস বা এসএমএস সব দেশেই প্রচলিত। আন্তঃব্যক্তিক যোগাযোগ ছাড়াও বর্তমানে যেকোনো প্লাটফর্ম ব্যবহারে এখানে ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড পাঠানো হয়। টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশনের ক্ষেত্রেও এসএমএস সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
গুগল মেসেজ: এসএমএস অ্যাপ হিসেবে অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে সবচেয়ে পরিচিত গুগল মেসেজ। এতে সাধারণ এসএমএস ও এমএমএস মেসেজ পাঠানোর সুবিধা রয়েছে। এছাড়া এতে আরসিএস মেসেজিং ফিচার দিয়েছে গুগল। অডিও-ভিডিওর পাশাপাশি এতে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন রয়েছে।
চম্প এসএমএস: ২০১৩ সাল থেকেই বাজারে চম্প এসএমএস কার্যকর। কাস্টমাইজেশন বা পরিবর্তনের সুবিধা থাকায় এটি অন্য অ্যাপের তুলনায় এগিয়ে। ব্যবহারকারী চাইলে অ্যাপের নোটিফিকেশন কালার, টেক্সট-এর আকার ও রঙ, এমনকি রিংটোনও পরিবর্তন করতে পারবেন। এছাড়া মেসেজে স্বাক্ষর যুক্ত করা, পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে সুরক্ষিত রাখার সুবিধাও মিলবে।
গুগল ভয়েস: গুগল ভয়েসকে কোনো মেসেজিং অ্যাপ হিসেবে গণ্য করা হতো না। তবে এতে সাইন আপ করার পর এসএমএস, এমএমএস ও আরসিএসের সুবিধাও পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীরা ভয়েসমেইল ও ফ্রি কলিং সুবিধাও পেয়ে থাকে।
টেক্সট প্লাস: গুগল ভয়েসের অনুরূপ আরেকটি পরিষেবা হচ্ছে টেক্সট প্লাস। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ব্যবহারকারীরা ওয়াই-ফাইয়ের মাধ্যমে বিনামূল্যে মেসেজ পাঠাতে পারে।
প্রযুক্তি বিশারদদের মতে, অ্যান্ড্রয়েড ইকোসিস্টেমে টেক্সট বা মেসেজ পাঠানোর অ্যাপ প্রতিনিয়তই বাড়ছে। তাই প্রয়োজন ও পছন্দ অনুযায়ী, অ্যাপ ইনস্টলের পরামর্শ দিয়েছেন বিশ্লেষকরা। অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ অবলম্বনে