শাহিনুর রহমান, পাটকেলঘাটা
পাটকেলঘাটার পারকুমিরায় অবস্থিত সরুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি প্রতিদিন মাত্র ৩/৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়। সারাদিন এই নির্দিষ্ট ৩/৪ ঘণ্টার আগে বা পরে রোগী আসলেও তাকে চিকিৎসা সেবা না নিয়েই ফিরে যেতে হয়। সকাল ১০টায় থেকে বেলা ১ টা পর্যন্ত খোলা থাকলেও বেশি সময়ই পাওয়া যায় না দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তা কাউকে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ইচ্ছা ও সুবিধামত চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এতে ব্যাহত হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের গরীব অসহায় মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা। সরুলিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ১৮ মার্চ বেলা ১ টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গেটে ঝুলছে তালা। নেই রোগী, নেই চিকিৎসক। কখনও কখনও সকাল সাড়ে ৯টার পরে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির তালা খোলেন ফার্মাসিট শিশির চক্রবর্তী। তার কিছু সময় পরে আসেন অফিস সহায়ক মোঃ শরিফুল ইসলাম। এই শরিফুলের নিয়মই যেন এখানে চলে। তবে খোঁজ মেলেনি পরিবার পরিকল্পনা দর্শিকা মেহের বানুকে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশে বসবাসকারীরা জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র সকাল ১০ টার দিকে খুলতে দেখি, আবার ১ টার আগে বন্ধ দেখি করে। কর্মকর্তারা তাদের ইচ্ছে মতো খোলে আবার বন্ধ করে চলে যায়। স্থানীয় গ্রাম বাসী মোঃ আক্তারুল ইসলাম জানান, আমি গত সপ্তাহে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির সামনে সকাল সাড়ে ৯টা থেকে অবস্থান করছিলাম ১০টা বাজলেও চিকিৎসক বা কারও কোনো খোঁজ মেলেনি। যে রোগীগুলো আসে সবাই জানে, এখানে চিকিৎসক পাওয়া যায় না। আর চিকিৎসক পাওয়া গেলেও ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার পরে। তাই কেউ চিকিৎসা নিতেও আসে না। কর্মচারীরা সকাল ১০টায় এসে দুপুর ১টার দিকে বন্ধ করে চলে যায়। স্থানীয় কয়েকজন কলেজ ছাত্র বলেন, যে ওষুধ লাগবে সেটা হাসপাতালে থাকে না। বলে সামনের মাসে আসলে দেব। আর তারা কখন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলে সেটাই তো বোঝা যায় না। তাদের ইচ্ছেমতো চলে এটি। তালা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাজীব সরদার বলেন, সরকারি অফিস সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। এ সময়ে এসেই তাদের অফিস করতে হবে। সঠিক সময়ে অফিস না করলে ও দায়িত্ব অবহেলা করলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।