ঝিনাইদহে সিও এনজিও’র কর্মীদের মানববন্ধন

0
5

মোঃ মহিউদ্দীন, ঝিনাইদহ
ঝিনাইদহে সিও এনজিও’র বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও অনশন কর্মসুচি পালন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে এই কর্মসুচি পালন করে তারা। সিও অফিসে আটকে নির্যাতন ও মিথ্যা চেকের মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিরা এই কর্মসুচির আয়োজন করেন। মানববন্ধন কর্মসুচিতে মেহেরপুরের আমদহ গ্রামের আমিরুল ইসলাম, খুলনার মাসুদা পারভিন, রাজশাহীর বাঘা উপজেলার লক্ষিনগর গ্রামের আজিজুল আলম, শৈলকুপার সাবিনা ইয়াসমিন ও গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন ও অনশন কর্মসুচি শেষে তারা ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। গাইবান্ধার সুই গ্রামের এবিএম মাহবুবুর রশিদ জানান, তিনি সিও এনজিওতে চাকরী করেছেন সততার সঙ্গে। তিনি কোন আর্থিক কেলেংকারীর সঙ্গে জড়িত নয়। সিও সংস্থার হিসাব নিকাশ বা খাতা কলমে তিনি দায়ী নয়। অথচ চাকরী গ্রহনের সময় তাদের কাছে জমা রাখা খোলা চেকে ২৯ লাখ টাকা বসিয়ে মিথ্যা মামলা করেছেন। এই মামলা চালাতে গিয়ে তিনি দেওলিয়া। তার সংসার ভেঙ্গে গেছে। মিথ্যা মামলায় একাধিকবার জেল খেটেছেন। তিনি বলেন, প্রশাসনিক প্রতিকার না পেলে আমরা সবাই সেচ্ছায় আত্মহুতি কর্মসুচি দিতে বাধ্য হবো। শৈলকুপার চন্ডিপুর গ্রামের সাবিনা ইয়াসমিন জানান, তিনি সিও এনজিওতে ১২ বছর হিসাব রক্ষক পদে চাকুরী করেছেন। তিনি চাকুরী ছেড়ে দিলে তার নামেও ১৯ লাখ টাকার চেকের মামলা করেছেন। তিনি বলেন একই অংকের টাকা আত্মসাতের দায়ের তার স্বামী ফারুক ও সিও এনজিওর আরেক কর্মী তানিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। মেহেরপুরের আমদহ গ্রামের আমিরুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সিও এনজিও’র মালিক সামুছলের প্রধান ব্যবসা খোলা চেকের মামলা। তিনি বলেন, তার কাছে জমা রাখা কর্মীদের খোলা চেকে ইচ্ছামতো টাকার অংক বসিয়ে গত বছর আড়াই’শ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। সিও এনজি’ওর এই রমরমা ব্যবসায় শত শত কর্মী ও ঋন গ্রহীতা পথে বসেছেন। অনেকে দেউলিয়া হয়েছেন, ভেঙ্গে গেছে সংসার। খুলনার মাসুদা পারভিন জানান, তিনি চাকরী ছাড়ার পরও তার মুল সার্টিফিকেট আটকে রেখেছে সিও। আবার খোলা চেকের মামলা দিয়েছে তিনটি। শুধু তিনিই নয়, যশোরের রবিউল, কুষ্টিয়ার শওকত আলী, একই জেলার গৌরাঙ্গ কুমার, কালীগঞ্জের আশিক, পাবনার সুবর্ণা খাতুন, সোহেল রানা, সাইফুল ইসলাম, শৈলকুপার মাহমুদ ও মহেশপুরের রুপা খাতুনসহ সহ একাধিক ব্যক্তির নামে সিও এনজিও মিথ্যা চেকের মামলা করে হয়রানী করছেন। এ বিষয়ে সিও এনজিওর নির্বাহী পরিচালক সামছুল আলম জানান, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। আমি কারো কাছ থেকে খোলা চেক গ্রহন করিনা। তিনি বলেন, যারা কর্মসুচি পালন করছেন তারা সবাই অর্থ আত্মসাৎ মামলার আসামী। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জানানো হবে।