কালীগঞ্জে বানিজ্যিক ভিত্তিতে ক্যাপসিকাম ফলের চাষ

0
7

সোহাগ আলী, কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জে বাণিজ্যিক ভাবে চাষ হয়েছে ক্যাপসিকামের। এ চাষে ব্যবহার করা হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তিতে, যে কারনে ফলনও ভালো হবে এমন টা আশা করছেন ক্ষেত মালিক। ক্ষেত মালিক ও কৃষি উদ্যোক্তারা বলছেন, ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত ও চাষটি ছড়িয়ে দিতে পারলেই কমবে আমদানি নির্ভরতা। কৃষি বিভাগ বলছে, সবজিটির চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করা হচ্ছে কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। কালীগঞ্জ উপজেলার নতুন কিছু করার প্রত্যায় নিয়ে অনেকেই পরীক্ষামূলক ভাবে চাষ শুরু করেন ক্যাপসিকামের। অনেক পরিশ্রমের পর এখন গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে সবুজ ক্যাপসিকামের। নিবিড় পরিচর্যা ও সময়মত ওষুধ প্রয়োগ করতে পারলে এ সবজির চাষ এলাকায় বিস্তার করা সম্ভব বলে মনে করেন ক্ষেত মালিকরা। ক্যাপসিকাম চাষিরা জানান, ক্যাপসিকামের বীজ বপন করার এক মাস পর চারা তৈরি হয়। চারা উপযুক্ত হওয়ার পর জমি তৈরি করতে হয়। চারা রোপণের আগে পলিথিন দিয়ে বেড তৈরি করে নির্দিষ্ট পরিমাণ জায়গা ফাঁকা রেখে গাছের চারা বপন করতে হয়। বীজ বপনের পর গাছগুলো নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয়। গাছ লাগানোর ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে ফুল আসতে শুরু করবে। ফুল আসার ২৫ দিনের মধ্যে ফল বিক্রির উপযুক্ত হবে। কয়েক মাস পর্যন্ত ফল পাওয়া পাবেন এ গাছ থেকে। ক্যাপসিক্যামে মরিচের মত গন্ধ থাকলেও খাওয়ার সময় ঝাল লাগে না। প্রচুর পুষ্টিগুণ আছে এ সবজিটিতে।  প্রায় ৪ মাস আগে জমি তৈরি করে রোপণ করেন উচ্চ ফলনশীল ক্যাপসিকাম। প্রতিটি গাছ থেকে ৪ থেকে ৫ কেজি পর্যন্ত ক্যাপসিকাম ফল পাওয়া সম্ভব বলে মনে কনে চাষী শাহিন হোসেন। এ ফল বাজারে বিক্রি করে পরিবারের অভাব-অনটন ঘোঁচনো সম্ভব বলে মনে করেন চাষীরা। কালীগঞ্জের পিরোজপুর গ্রামের ক্যাপসিকামের ক্ষেত দেখতে প্রতিদিনই দূর-দুরান্ত থেকে লোকজন আসছেন।  কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসার মাহবুব আলম রনি বলেন, ক্যাপসিকাম মানুষের কাছে একটি জনপ্রিয় সবজি ও লাভজনক ফসল। বাজারে এর ভালো দাম পাওয়া যায়। ইতোমধ্যে বিভিন্ন কৃষক পরীক্ষামূলক ভাবে ক্যাপসিকামের চাষ শুরু করেছেন। আমরা আশা করছি আগামীতে এলাকয় আরও বড় পরিসরে ক্যাপসিকামের চাষ হবে।