দুই মামলায় সাজা সত্তেও বহাল তবিয়তে সহকারী মেডিকেল অফিসার রাশেদুল

0
16

উৎপল মণ্ডল,শ্যামনগর
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী মেডিকেল অফিসার রাশেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে পরপর দু’টি মামলায় সাজা হয়েছে। অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত পৃথক মামলা দু’টিতে তাকে যথাক্রমে ছয় মাস ও এক বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।একইসাথে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয় রাশেদুল ইসলামকে। তবে পরপর দু’টি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েও কতৃপক্ষের আশির্বাদপুষ্ট এ কর্মকর্তা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। সাজার আদেশ মাথায় নিয়ে তিনি স্বাভাবিক নিয়মে দায়িত্ব পালন করছেন কর্মক্ষেত্রে। আইনের দৃষ্টিতে ফেরার হয়েও সরকারি হাসপাতালের জরুরী বিভাগে রাশেদুলের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এসব মামলার বাদিসহ স্থানীয়রা। উপজেলার গোডাউনমোড় এলাকার বাসিন্দা আবুল বাসার গাইন জানান তার দায়ের করা সেশন ৬২৪/২০ নং মামালায় গত ৬ মার্চ বিজ্ঞ আদালত রাশেদুলকে এক বছরের কারাদন্ডসহ তিন লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। দন্ডাদেশ মাথায় নিয়েও তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব দিব্যি দায়িত্ব পালন করছেন। এঘটনার প্রতিকার দাবি করে রাশেদুলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে তিনি সাতক্ষীরা জেলা সিভির সার্জনের কাছে ২১ মার্চ লিখিত আবেদন করেছেন বলেও দাবি আবু বাসারের।অপর মামলার বাদি সাঈ আলী বলেন তার দায়েরকৃত মামলায় ১০ জানুয়ারী ২০২২ তারিখে যুগ্ম দায়রা জজ আদালত রাশেদুল ইসলামকে ছয় মাসের কারাদন্ডসহ তিন লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। পরবর্তীতে তিনি দেড় লাখ টাকা জমা দিয়ে আপিল করেন। একপর্যায়ে ২৬ জুন ২০২৩ তারিখে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত জামিন বাতিল করে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেন। সাঈ আলী অভিযোগ করেন সাজার আদেশ মাথায় নিয়েও কৃতপক্ষের আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে রাশেদুল অঅইনের প্রতি বুড়ো আঙুল প্রদর্শন করে চরেছেন। একের পর এক মামলায় সাজা হলেও কতৃপক্ষ তাকে জামাই আদরে আগলে রেখেছেন। বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রন দুরের কথা অঅইনের চোখে পলাতক একজন আসামীকে দিয়ে জরুরী বিভাগের মত গুরুত্বপুর্ন জায়গায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিচ্ছে। এসব বিষয়ে রাশেদুল ইসলাম খান রিমেন জানান আদালতের নির্দেশ মেনে দ্রুতই নির্দিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পনসহ মহামান্য হাইকোর্টে জামিন আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ জিয়াউর রহমান জানান সাজাপ্রাপ্ত হওয়া ঘটনায় তারা আদালতের কোন নির্দেশনা পাননি। এধরনের কিছু পাওয়া গেলে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের পরামর্শে বিধি অনুয়ায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।