গোলাম রববানীর দুটি কবিতা

0
12

প্রতিদিনের ডেস্ক:
বোধ- ২২
মন ফেরাবার নেই অধিকার—চোখ ফেরাবার
অধিকার আছে কি-না জানাশোনা নেই একেবার
কী নির্বোধ ভাবনার চৌদেয়াল: ভাঁটফুল চুপ!
নেই গিরগিটি ভাবসাব—সে-তো আর হয় না গোলাপ
কত ভাবনা চৌদিক, গেঁথে আছে বেদনার মালা,
হয়তোবা জানা-শোনা শোকনামা; কিমিয়া জানি না
জেনেছিলাম এটুকু—মাতৃগর্ভের মতো আঁধার
পৃথিবীর এইসব ঠিক যেন কবিতার মতো…
তবু ফিরে তাকানোর নেই কোনো বাঁধা ব্যবধান
আজকালকার চোখে পল গঁগা নতুন উদ্যমে
আইসল্যান্ডের অগ্ন্যুৎপাতের মতো গলে গলে
যদি নতুনের স্রোতে যেত ভেসে কালো ছায়া কালে
নিশ্চিন্ত মনে নিতাম মেনে এই প্রেমপত্র আজ
সূর্যচোখে আসলেই আনন্দের খোরাক জোগাতে
কিছু আনন্দ কিছু প্রত্যাশা অন্ধবিষের বোতলে
অমৃত সুধার মতো জেনেশুনে বিষণ্নতা মুখে…
****
বোধ- ২৪
সেই দুঃস্বপ্নের অমাবস্যার সময় আজ চলমান
পাখিদের ঠোঁটে ঠোঁটে খুটে খুটে খায় পোকামাকড়
এরচেয়ে ভালো থাকার রাজনীতি কোথায় পাবে?
মুখরিত হয় কথার খরস্রোতে পরিমার্জিত হয়ে
সুরভিত ফুলের সুগন্ধে বড় রাজনীতি ছড়ায় এখানে
নষ্টঠোঁটের চেয়ে বড় কোনো রাজনীতি হয় না
তিপ্পান্ন বছর সুন্দরের সর্বনাশে একখণ্ড নষ্টধূলি;
নষ্টগ্রাম—বিনষ্ট মনের দীর্ঘকালের বিষাদে রূপান্তরিত
শুধু হতাশা আর আক্ষেপের কেন বজ্রপাত হয় না?
অটোহান ও ওপেনহাইমার আশ্চর্য সুন্দরের মালিক—
না পাওয়া শঙ্কিত সংক্ষুব্ধ সে-তো চিরদিনের ক্রুদ্ধজোঁক
মুক্তির পদাবলি বিমুখ হয়ে একনিষ্ঠ চিত্তে গিলে নিচ্ছে
গিলে নিচ্ছে একাত্তর; একাত্তরোত্তর উজ্জ্বল দিন
পূর্বদিকে উদিত সূর্যের মতো ঠিক চিরন্তন অহংকার