সরকারকে সতর্কতা ও কঠোরতার সঙ্গেই মোকাবিলা করতে হবে

0
15

মোনায়েম সরকার
কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট বা কেএনএফ নামের একটি সংগঠন বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংকে হামলা, টাকা ও অস্ত্র লুট এবং ব্যাংক ব্যবস্থাপককে অপহরণের ঘটনায় একদিকে যেমন ওই এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে, অন্যদিকে তেমনি কিছু প্রশ্নও সামনে এসেছে। কুকি-চিন কি চায়, তারা পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি তৈরির কোনো সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে চাইছে কি না, এই সংগঠনটি যে শক্তি প্রদর্শনের সক্ষমতা দেখাতে পারলো, এটা আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কোনো ব্যর্থতা কি না- এসব প্রশ্ন সামনে আসা স্বাভাবিক।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ৬ এপ্রিল শনিবার সকালে রুমা পরিদর্শনে গিয়ে যৌথ বাহিনীর অভিযানের ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, ‘অস্ত্র-পোশাকসহ তারা ঢুকবে, আর আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বসে থাকবে, তা কাম্য নয়। এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাব। কোনোক্রমে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে দেব না।’ পাশাপাশি মন্ত্রী এটাও বলেছেন, এলাকার জনগণ চাইলে আলোচনা বা শান্তি সংলাপের পথও খোলা রাখা হবে।
অন্যদিকে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, কেএনএফ পাশের একটি দেশের সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে ব্যাংক লুট, ডাকাতিসহ নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। তাদের সঙ্গে আশপাশের সন্ত্রাসীদেরও যোগাযোগ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে সরকার বদ্ধপরিকর।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, একসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়ে শুরু করা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’ ২০২২ সালের শেষ দিকে বেশ সক্রিয় ছিল ফেসবুকে। তখন ফেসবুকে ও ইউটিউব পোস্টে কেএনএফ তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ ছাড়াও শুরু থেকেই সরকার ও জনসংহতি সমিতির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিত।
পাহাড়ে জঙ্গি সংগঠন ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’কে মদত দিয়ে আলোচনায় আসার পর সাঁড়াশি অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপর থেকে একের পর এক অপহরণ, ডাকাতি, লুট, চাঁদাবাজি ও খুনের ঘটনায় নিজেদের শক্তির জানান দিতে থাকে কেএনএফ। সবশেষ দুই দিনের মধ্যে বান্দরবানের তিন উপজেলায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও নিরাপত্তা চৌকিতে হামলায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পুরো পাহাড়ি জনপদ। প্রশ্ন উঠছে, ক্ষুদ্র একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করা সংগঠন হুট করে এত শক্তি সঞ্চয় করল কীভাবে।
নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিজেদের সক্ষমতার জানান দিতে এ এসব ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে কুকি-চিন। এর পেছনে কেএনএফের সঙ্গে জঙ্গিদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ভূ-রাজনৈতিক সুবিধা, ভারতের মিজোরামের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও মিয়ানমারের কুকিদের যোগসূত্র থেকে থাকতে পারে। কেননা, কেএনএফ এর মূল কেন্দ্র হলো বাংলাদেশ, ভারত ও মায়ানমারের সীমান্ত ট্রায়াঙ্গল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদও ইঙ্গিত দিয়েছেন, কেএনএফের সঙ্গে পাশের দেশের সন্ত্রাসীদের যোগাযোগ আছে। অস্ত্রের যোগানও সেখান থেকে এসে থাকতে পারে। যদিও এসবের নির্দিষ্ট কোনো তথ্যপ্রমাণ এখন পর্যন্ত উপস্থাপিত হয়নি। আবার কুকি-চিনের প্রতিষ্ঠাতা নাথান বম এখন কোথায় আছেন; সেটিরও সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে।
পাহাড়ে থমথমে অবস্থার মধ্যে আবারো নতুন করে নিজেদের ফেসবুক পেজে যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে শান্তি আলোচনার শর্ত ভঙ্গের বিবৃতি দিয়েছে সশস্ত্র সংগঠনটি। পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু শর্তের ভিত্তিতে আবারো শান্তি আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দিয়ে রেখেছে কুকি-চিন।
উল্লেখ করা যেতে পারে যে, কুকি-চিনের প্রধান নেতা নাথান বম পার্বত্য চট্টগ্রামের জনসংখ্যার বিচারে পঞ্চম বম জনগোষ্ঠীর সদস্য। এই জাতিগোষ্ঠীর প্রায় সবাই খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার এডেনপাড়া সড়কে নাথানের পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক অবস্থা খুব ভালো ছিল না কখনোই। তারপরও এই পরিবার এবং জনসংখ্যায় কম একটি জাতিগোষ্ঠীর ভেতর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পড়ার সুযোগ পাওয়ায় এলাকার অনেককেই গর্ব বোধ করত।
তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলায় স্নাতক হন। ইউরোপের কয়েকটি দেশেও গেছেন। ইংল্যান্ড থেকে চারুকলায় ডিপ্লোমাও নিয়েছেন বলে নাথান দাবি করে থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করার পর আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তাতে ক্ষোভ জন্মে। ইংরেজি ভাষায় বইও লিখেছিলেন। পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। সেটাও লাভজনক হয়নি। একসময় একটি এনজিও করেন। এরই মধ্যে নানা মহলের সহযোগিতা নিয়ে সশস্ত্র সংগঠন গড়ে তোলেন। সেই সশস্ত্র সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এখন পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের কাছে নতুন এক আতঙ্ক হিসেবে দেখা দিয়েছে।
নাথান বম ছাত্রজীবনে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জেএসএস সমর্থিত এই ছাত্র সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতাও ছিলেন। এর পাশাপাশি নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে থাকতেন। বান্দরবানের চেঙ্গি স্কোয়ারে জেএসএসের প্রতিষ্ঠাতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার আবক্ষ মূর্তি মুন্নি দেওয়ানের সঙ্গে তৈরি করেন নাথান বম। তবে একপর্যায়ে জেএসসের সঙ্গও ছাড়েন তিনি। এরপর যখন এলাকায় ফিরে যান, তখন পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন করে উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর নেতৃত্বে ছিল জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। নাথান সেই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য বেশ তদবির করেছিলেন। কিন্তু এই কাজ তিনি পাননি। এটা তাকে বেশ ক্ষুব্ধ করে। নাথানের ঘনিষ্ঠ এক বন্ধু বলছিলেন, কয়েকজন চাকমা যুবক ওই চাকরি পেয়েছিলেন। নাথান মনে করতেন, তার জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যা কম বলে চাকরিটা তাকে দেয়া হয়নি। চাকমারা সংখ্যায় বেশি, সে জন্য তারা সুযোগ পেয়েছে। এ জন্য নাথান চাকমাদের ওপর কিছুটা বিদ্বেষী হয়ে ওঠেন।
এডেন পাড়ায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) নামের একটি বেসরকারি সংগঠনেরও প্রতিষ্ঠাতা নাথান বম। এই প্রতিষ্ঠানের অর্থের উৎস নিয়ে অনেকেরই ঔৎসুক্য থাকলেও তার রহস্য কখনো উন্মোচন করা যায়নি। নাথান সেই সময় তার জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে একত্রিত করার জন্য নানারকম ভাবনা ভাবতে থাকেন।
এ সময় ‘জো’ নামে ইংরেজি ভাষায় একটা বইও লিখে ফেলেন। এর দাম ৩০০ টাকা ছিল। এই সংগঠনটির আড়ালে তলে তলে নাথানকর্মী সংগ্রহ করতেন বলে স্থানীয়রা মনে করেন। নাথান অর্থের হাতছানি পেয়েছিলেন কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে। ২০১৮ সালে তিনি নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়নি। নাথানের আর নির্বাচনও করা হয়নি। তবে সশস্ত্র আন্দোলন করার প্রচেষ্টা তখন থেকেই চলছিল।
২০১৮ সালের শেষদিকে নাথানসহ বেশ কয়েকজন মিয়ানমারের চিন রাজ্যে গিয়ে অস্ত্রের প্রশিক্ষণ নেন বলে শোনা যায়। এরপর তিনি এলাকায় ফিরে আসেন। ফিরে আসার পর নাথানের কর্মকাণ্ড অনেকের চোখেই সন্দেহের সৃষ্টি করে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তার কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে নাথান এবং তার সহযোগীরা এক ধর্মীয় পাস্তরকে তাদের সেই এনজিওর অফিসে তুলে বেধড়ক মারধর করে। আহত অবস্থায় তাকে ফেলে দেয়া হয়। এর পর পরই নাথান এলাকা ত্যাগ করেন। তিনি মিয়ানমারে এবং ভারতের মিজোরামে প্রায়ই যাতায়াত করতেন বলে অনেকে জানান। মনে করা হচ্ছে, জেএসসের বিরুদ্ধে একটা সশস্ত্র দলের অবস্থান পার্বত্য চট্টগ্রামের হোক, এটা যারা চাইতেন, তারাই নাথানকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।
২০২২ সালের দিকে ফেসবুকে একটি আলাদা রাজ্য গঠনের ঘোষণা, সশস্ত্র দলের নানা ছবি দিয়ে কেনএফের কর্মকাণ্ড জাহির করলেও স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হয়ে উঠলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মিলে একটি শান্তি কমিটিও তৈরি করেন।
এই শান্তি কমিটির সঙ্গে ইতোমধ্যে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে কেএনএফের। সর্বশেষ বৈঠক হয় গত ৫ মার্চ। সেখানকার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল ২২ এপ্রিল। কিন্তু তার আগেই একাধিক ব্যাংকে হামলা, থানায় হামলাসহ নানা কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয় কেএনএফ। নাথানের এই তৎপরতার ফলে শান্তি প্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরে আসার কথা জানান শান্তি কমিটির নেতারা।
যদিও গত ৬ এপ্রিল বান্দরবান সার্কিট হাউজে জেলার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আওয়ামী লীগ জনগণের সরকার। তাই জনগণ যদি চায় কুকি-চিনের (কেএনএফ) সঙ্গে শান্তি আলোচনা করা হবে। তবে কোনো অবস্থায়ই আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে দেয়া যাবে না। মন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর কুকি-চিন জানিয়েছে, সরকার যদি আলোচনার জন্য সদিচ্ছা প্রকাশ করে তাহলে আমরা প্রস্তুত। তবে তা অবশ্যই হতে হবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সচিব পর্যায়ের সঙ্গে। থাকতে হবে দেশের উচ্চ মহলের প্রতিনিধিদেরও। এতে নতুন করে শান্তি আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
বান্দরবান জেলায় কেএনএফ বা কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ড সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রামের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতার চিত্রই তুলে ধরেছে। ২ এপ্রিল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে হানা দেয় কেএনএফ। এ সময় তারা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর ১৪টি অস্ত্র এবং ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক নেজামউদ্দিনকে তুলে নিয়ে যায়। ১৬ ঘণ্টা না যেতেই ৩ এপ্রিল দুপুরে একই সশস্ত্র গোষ্ঠী থানচি উপজেলার কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে প্রায় ১৭ লাখ টাকা লুট করে। পরদিন ৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে কেএনএফ।
রুমায় কেএনএফ সদস্যরা শত শত রাউন্ড গুলি করলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষে একটি গুলিও বের হয়নি। বরং কেএনএফ ১৪টি অস্ত্র কেড়ে নিয়েছে। তার মানে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অপ্রস্তুত ছিল? এই হামলার মধ্য দিয়ে কেএনএফ বান্দরবানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিতদের প্রতি একটি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। এর নেপথ্যে তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, আন্তর্জাতিক সংযোগ ও ত্রিদেশীয় ভূরাজনৈতিক সম্পর্ক খতিয়ে দেখতে হবে। গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও সামরিক শক্তি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা অর্জন করতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ, অর্থ, বৈদেশিক সাহায্য ও জনসমর্থন থেকে কেএনএফকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক কার্যক্রমও চালাতে হবে। শান্তি আলোচনা বা সংলাপের পথ খোলা রাখার যে কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা মনে করি। পার্বত্য চট্টগ্রামের বমসহ অন্যান্য জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক আকাক্সক্ষা বোঝা ও সম্মান করার প্রচেষ্টা টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে পারে। তাদের জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, অধিকার সমুন্নত থাকলে কেএনএফের মতো কোনো গোষ্ঠীর পক্ষে অন্যায় প্রভাব বিস্তার সহজ হবে না।
লেখক : রাজনীতিক, লেখক ও চেয়ারম্যান, বিএফডিআর।