আমিরকে দলে ফেরাতে যে সতীর্থ ‘বড় ভূমিকা’ রেখেছেন

0
3

প্রতিদিনের ডেস্ক
প্রায় চার বছর পর অবসর ভেঙে পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরেছেন তারকা পেসার মোহাম্মদ আমির। এ খবর বেশ পুরোনো, ইতোমধ্যে তিনি নতুন প্রত্যাবর্তনের পর একটি ম্যাচও খেলে ফেলেছেন। যদিও ম্যাচটির বয়স ছিল মাত্র ২ বলের, বৃষ্টিতে ভেসে গেছে পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ডের প্রথম টি-টোয়েন্টি। যার কারণে ফেরার ম্যাচে বলও হাতে নিতে পারেননি আমির। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে তার এই ফেরায় বড় ভূমিকা ছিল আরেক সতীর্থের। সম্প্রতি এ নিয়ে পিসিবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন ৩২ বছর বয়সী এই পেসার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ করে দেওয়ায় আমির পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট ও সতীর্থ শাহিন শাহ আফ্রিদিকে কৃতজ্ঞতা দিয়েছেন। আমির বলেন, ‘সকল কৃতজ্ঞতা (আমাকে ফেরানোয়) পিসিবির ম্যানেজমেন্ট, শাহিনের (আফ্রিদি) প্রতি। তারা আমার ওপর আস্থা রেখে দলে ফিরিয়েছে এবং তার প্রতিদান দিতে আমি কিছুটা চাপ অনুভব করছি।’ এর আগে চলতি বছরের শুরুতে আবুধাবির আইএল টি-টোয়েন্টিতে একই দলের হয়ে খেলেছিলেন আমির ও শাহিন আফ্রিদি। তারই এক ফাঁকে আমিরকে জাতীয় দলে ফেরানোর চেষ্টা নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে শাহিন জানিয়েছিলেন, ‘আমি মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে কথা বলব, জানতে চাইব তিনি ফের পাকিস্তান জাতীয় দলে ফিরতে চান কি না। প্রায় পাঁচ বছর পর আমি তার সঙ্গে বল করছি। তার সঙ্গে বল করার অনুভূতি অসাধারণ, আমাদের জুটিও দুর্দান্ত।’ পরে ওই ঘটনায় শাহিনদের সতর্ক করে বার্তা দেয় পিসিবি। অনুষ্ঠানটি সামাজিক মাধ্যমে হওয়ায় তারা ক্রিকেটারদের ‘সোশ্যাল মিডিয়া কোড’ তৈরির হুঁশিয়ারিও দিয়েছিল। মনে হচ্ছিল– আমিরের দলে ফেরার পথ বুঝি আবারও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে সর্বশেষ পিএসএল আসরের পর নড়েচড়ে বসে পিসিবি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তারা অবসর নেওয়া দুই ক্রিকেটার আমির ও ইমাদ ওয়াসিমের সঙ্গে আলোচনায় বসে। এরপরই ফের অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক পাক জার্সি গায়ে তোলার ঘোষণা দেন এই দুই তারকা। এরপর তারা কিউইদের বিপক্ষে চলমান সিরিজের দলেও আছেন। জাতীয় দলে ফেরার অনুভূতি জানিয়ে আমির বলেন, ‘সম্ভবত ৪ বছর পর ফিরেছি এবং যখন আপনি নিজের দেশকে প্রতিনিধিত্ব করবেন, এটি সত্যিকারভাবে ভিন্ন অনুভূতি। মনে হচ্ছে নিজের অভিষেক সিরিজ খেলতে নেমেছি। ২০০৯ সালে প্রথম পাকিস্তানের হয়ে খেলা শুরু করি এবং ওই বছরই আমরা বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হই। এরপর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠি এবং চ্যাম্পিয়ন হই আমরা। আবারও ছোট সময়ের একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে পিসিবি আমাকে ফিরিয়েছে, সেটি হচ্ছে বিশ্বকাপ (টি-টোয়েন্টি)।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরপর পাকিস্তান একাধিক টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলেছে, তবে এখানে এমন একটি লাইন আছে যেটা আমাদের অতিক্রম (চ্যাম্পিয়ন) করতে হবে। যদি সেটি সম্ভব হয়, তাহলে তা হবে আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া কারণ আমিও এখন এই দলের সদস্য।’ একইসঙ্গে নিজের ফিটনেসও আগের চেয়ে অনেক উন্নত বলে উল্লেখ করেন এই পাক তারকা। সম্পূর্ণ ফিট না হলে মাঠে নিজের পুরোটা দেওয়া যায় না বলেও উল্লেখ করেন আমির। এর মধ্য দিয়ে ৩২ বছর বয়সী এই পেসার পাকিস্তানকে বড় কিছু দেওয়া সম্ভব বলেও জানিয়েছেন। অন্যদিকে, নিজের কঠিন সময় পার করে আবারও ক্রিকেটে মনোযোগী হতে পারায় তিনি কৃতিত্ব দিয়েছেন স্ত্রী ও ছোট সন্তানের প্রতি। আমির বলেন, ‘আমি মনে করি আমার শক্তির বড় উৎস স্ত্রী ও সন্তান। আমি আমার মেয়েকে ভালোবাসি এবং যখন তাদের সঙ্গে সময় কাটাই, সেটি আমার জন্য অনুপ্রেরণার মুহূর্ত। এছাড়া সে (স্ত্রী) এটা নিশ্চিত করে যাতে আমার পুরো মনোযোগটা ক্রিকেটে থাকে। তাই আমি মনে করি এটি সবকিছু মোকাবিলা করে বাড়তি শক্তি জোগায়।’