নিউরোটেকনোলজির অগ্রগতিতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান

0
13

প্রতিদিনের ডেস্ক
নিউরোটেকনোলজি বা স্নায়ুসম্পর্কিত প্রযুক্তির বিকাশ হচ্ছে। আর এটি মানব স্বাস্থ্য ও সুস্থতার সংজ্ঞা বদলে দিতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, মানব মস্তিষ্কের তথ্য সুরক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। খবর তাইপে টাইমস।চিকিৎসা খাতে নিউরোটেকনোলজির সাফল্য পক্ষাঘাতগ্রস্ত ব্যক্তিকে পুনরায় হাঁটার বা বধির মানুষকে শ্রবণশক্তি ফিরিয়ে দিচ্ছে। ইলোন মাস্ক মালিকানাধীন নিউরালিংকের মতো কোম্পানি ব্রেন ইমপ্লান্ট নিয়ে অনেকটাই এগিয়ে গেছে। তাদের মতে, এসব প্রযুক্তি চিকিৎসার পাশাপাশি জীবনযাপনেও পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এরই মধ্যে এ প্রযুক্তিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে। মিউনিখ টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মার্সেলো ইনকা বলেন, ‘মানব ইতিহাসে এটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত। প্রথমবারের মতো আমরা মানুষের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে তা বোঝার পাশাপাশি সংশোধনের জন্য টুল বানাতে সক্ষম হয়েছি।’
মার্সেলো ইনকা, গবেষণা বিজ্ঞানী নাতালিয়া কোসমিনা এবং উদ্যোক্তা রায়তা কানাই জোর দিয়ে বলেন, ‘উদীয়মান এ প্রযুক্তিটি এখন শুধু চিকিৎসা খাতে সীমাবদ্ধ নয়। বাজারে নিউরোটেকনোলজিনির্ভর বেশকিছু ভোক্তা পণ্যও রয়েছে। তারা আরো জানান, কয়েক বছরের মধ্যে এ প্রযুক্তিটি ব্যাপকভাবে সবার জন্য ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে।
একটি খসড়া কাঠামো তৈরিতে ২৪ সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল গঠন করেছে ইউনেস্কো। তারা আশা করছেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো এ বিষয়ে একটি ঐকমত্যে পৌঁছাবে।
মানুষের টেলিপ্যাথিক হয়ে ওঠা বা অমরত্ব অর্জন সম্পর্কে ইলোন মাস্কের কিছু দাবি অবাস্তব মনে হলেও, বিশেষজ্ঞরা স্বীকার করেছেন নিউরালিংক মস্তিষ্কের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে কার্যকর সাফল্য দেখিয়েছে। নাতালিয়া কোসমিনা বলেন, ‘‌সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই মাস্ক এসব দাবি করেছিলেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘এ প্রযুক্তি ব্যবহারের শারীরিক কোনো ক্ষতি হবে না, তবে ব্যবহারকারীদের এ প্রযুক্তির ডিভাইস পরিধান করতে হবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, স্বল্প মেয়াদে ওয়্যারেবল নিউরোটেকনোলজি বেশি লাভজনক হবে। এর অংশ হিসেবে প্রযুক্তিটি পাঁচ বছরের মধ্যে শিক্ষকদের পড়ানোর ধরন বদলে দিতে পারে বলেও পূর্বাভাস দিয়েছেন তারা।
নিউরোটেকনোলজি ব্যবহার করা হলেও মানবাধিকার রক্ষাই ইউনেস্কোর মূল লক্ষ্য। সংস্থাটির মহাপরিচালক অড্রে আজুলে বলেন, ‘নিউরো রাইট বা স্নায়ু অধিকার প্রতিষ্ঠা ছাড়া নিউরো ডাটা সুরক্ষিত করা যাবে না।’
প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, অ্যাপলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এয়ারপডের মতো ডিভাইসের মাধ্যমে মানুষের মস্তিষ্কের তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। আর এজন্যই নিউরো ডাটার সুরক্ষা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।