দ্রুত বৈশ্বিক পরিবর্তন উন্নয়নশীল দেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং

0
15

প্রতিদিনের ডেস্ক:
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পন্থাগুলো নিয়ে সবাই শঙ্কিত। দ্রুত বৈশ্বিক পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। সে বিষয়গুলোর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে চেষ্টা করছে সব দেশ। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে জন্য সেটা অনেক চ্যালেঞ্জিং।তিনি বলেন, এরমধ্যে বাংলাদেশ ভালো অবস্থায় রয়েছে। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আমরা সে জন্য উত্তম পলিসি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। যখন এ বাংলাদেশ শুরু হয়েছে তখন ব্যাংকে টাকা ছিল না, খাবার ছিল না। সে দেশ দ্রুত সময়ে সোনার বাংলা হয়েছে। অল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু সে উন্নয়ন পলিসির সূচনা করেছিলেন।রোববার (৫ মে) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ে ‘নেভিগেটিং ডেভেলপমেন্ট পাথওয়েজ ইন ইভলভিং গ্লোবাল অর্ডার’ (বিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পন্থাগুলোর খাপ খাওয়ানো) শীর্ষক দুদিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে প্রথম ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ইন্টারন্যাশনাল এ সেমিনার আয়োজন করে।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, বৈশ্বিক রাজনীতিসহ নানা সমস্যার মধ্যেও বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বড় বড় মেগা প্রকল্প ব্যস্তবায়ন করে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। অর্থনীতি, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সব সূচকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। এখন বাংলাদেশের উন্নয়ন অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য রোল মডেল।সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকা আয়েশা খান বলেন, বাংলাদেশ সফলভাবে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার পর এখন স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এসডিজি অর্জনে আমাদের বর্তমান অবস্থা খুব ভালো। আমার আগামী প্রজন্মের জন্য আরও শক্তিশালী অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি।প্যানেল আলোচক অর্থনীতিবিদ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে পর আমেরিকা ও চীনের যে বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হয়েছে, সেটা উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য ক্ষতিকর। আবার কিছু ক্ষেত্রে বড় বড় আমেরিকার কোম্পানি চীন থেকে ব্যবসা ভিয়েতনামের মতো দেশে সরিয়ে নিয়েছে। তবে এমন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ তেমন কোনো সুবিধা নিতে পেরেনি। যেটা আমাদের একটা সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ ও ভিয়েতনাম একই ধরনের অর্থনীতির দেশ ছিল। কিন্তু এখন তারা অনেক এগিয়ে গেছে জনবান্ধন ও ব্যবসাবান্ধব পলিসির জন্য।তিনি বলেন, সরকারের যদি জনসমর্থন ঠিক থাকে তাহলে দেশের বৈদেশিক স্বার্থরক্ষা সহজ হয়। দেশের ভেতরে রাজনীতিক হিসাব-নিকাশের জন্য দেশের স্বার্থ নিয়ে কোনো আপস করতে হয় না।অধিবেশনে সভাপতিত্ব করনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন নেদারল্যাল্ডসের হেগভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব স্যোশাল স্টাডিজের রেক্টর ড. আর আর গানঞ্জেভোর্ট, চীনের তিয়ানজিন ইউনিভার্সিটির ডিন ও প্রফেসর ড. জেংজংশিয়ান, যুক্তরাজ্যের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর ড. জো ডেভিন, যুক্তরাজ্যের স্কুল অক ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাক খান।