প্রতিদিন ১০ মিনিট হাসলে শরীরে যা ঘটে

0
10

প্রতিদিনের ডেস্ক:
বর্তমানে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকেই হাসতে ভুলে গেছেন। তবে হাসিখুশি থাকা যে শরীর ও মনের জন্য কতটা উপকারী, তা হয়তো অনেকেরই অজানা। হাসির গুরুত্ব জানানোর উদ্দেশ্যেই প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে পালিত হয় বিশ্ব হাসি দিবস।প্রতিবছর মে মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হয় দিবসটি। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেই দিবসটির সূত্রপাত। শুধু হাসির জন্য একটি দিন বরাদ্দ করার বেশ কিছু কারণ আছে অবশ্য।এটি মানসিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি শারীরিক স্বাস্থ্যও ভালো রাখে। কীভাবে শুরু হলো বিশ্ব হাসি দিবস? কেমন ছিল দিনটির শুরুর কথা? আর কেনই বা দিনটি পালন করা হয়? জেনে নিন তবে-হাসির ব্যায়াম অনেকের কাছেই পরিচিত। বিশ্ব হাসি দিবসের সূচনা সেখান থেকেই। তবে একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই দিনটির নেপথ্যে ছিলেন ভারতের একজন চিকিৎসক। তার নাম মদন কাটারিয়া। তিনিই প্রথম দিনটির পরিকল্পনা করেন।পেশায় পারিবারিক চিকিৎসক মদন কাটারিয়া তার রোগীদের হাসির ব্যায়াম নিয়মিত করতে পরামর্শ দিতেন। কারণ বেশ কিছু রোগ প্রতিরোধে হাসির বড় ভূমিকা আছে। সেখান থেকেই হাসির জন্য একটি বিশ্ব দিবসের ভাবনা আসে।এই ভাবনাকে রূপায়িত করা হয় ১৯৯৮ সালে।তখন থেকেই প্রতি বছর বিশ্ব হাসি দিবস মে মাসের প্রথম রবিবার পালন করা হচ্ছে। বর্তমানে লাফটার যোগা বিশ্বের ১১৫টিরও বেশি দেশের বিখ্যাত ব্যায়াম।নিয়ম করে রোজ হাসির কী কী উপকার ?বিশেষজ্ঞদের মতে, মনখারাপ কাটানোর সেরা উপায় হাসি। রোজ নিয়ম করে হাসলে মন ভালো থাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও। এছাড়া রক্তচাপ কমানোর পেছনেও এর বড় ভূমিকা আছে। নিয়ম করে হাসলে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।সারাদিন কাজে ব্যস্থ থাকায় অনেকেরই মন ও শরীরের উপর প্রচণ্ড চাপ পড়ে। এই মানসিক চাপ কাটাতে সাহায্য করে হাসি। স্ট্রেসের বড় ওষুধ কিন্তু প্রাণখোলা হাসি।এছাড়া নিয়মিত হাসলে রক্তপ্রবাহ ঠিক থাকে। আর রক্তের প্রবাহ ঠিক থাকলে মেটাবলিজমও উন্নত হয়। ফলে ক্যালোরি বার্ন করতেও সাহায্য করে হাসি। প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট হাসলে ৪০ ক্যালোরি ঝরানো যায়।