প্রভাবমুক্ত গণমাধ্যম ও মার্কিনীদের মোড়লিপনা

0
26

খায়রুল আলম
গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো মুক্ত এবং স্বাধীন গণমাধ্যম।এর মাধ্যমে নাগরিকরা অর্থনৈতিক উন্নয়নের তথ্য জানার পাশাপাশি তাদের নেতাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারে। স্বাধীন গণমাধ্যমের অধিকারের বিষয়টি জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠার দলিলের পাশাপাশি বাংলাদেশ সহ অনেক দেশের সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বকেস্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। ঘোষণাপত্রের ১৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ”প্রত্যেকেরই মতামত পোষণ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে; কোন ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়া অবাধে মতামত পোষণ করা এবং রাষ্ট্রীয় সীমানা নির্বিশেষে যে কোন মাধ্যমের মারফতে তথ্য ও ধারণাগুলো জানা/অনুসন্ধান, গ্রহণ ও বিতরণ করা এই অধিকারের অন্তর্ভুক্ত।”
১. বিশ্বজুড়ে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের প্রতি অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রতিটি দেশকে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিংকেন বলেন, ‘এটি প্রমাণিত যে যেসব সরকার সত্য প্রতিবেদনকে ভয় পায়, তারা বাণিজ্যিক স্পাইওয়্যার ও অন্যান্য নজরদারি প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে।’ সাংবাদিকরা শুধু দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সত্যের অন্বেষণে নজিরবিহীন বিপদের সম্মুখীন হন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
২. আমরা যদি এই বিবৃতির প্রতিটি বিষয় অনুধাবন করতে যাই তাহলে ঠিক একটু পিছন ফিরে তাকালেই হবে। ২০২৩ সালে ২৮ অক্টোবর। রাজধানীর নয়াপল্টনে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসুচি ছিলো। যদিও অভিযোগ ওঠেছিলো এই কর্মসুচির নেপথ্যে ছিলো খোদ মার্কিনসহ আরো কয়েকটি পশ্চিমা দেশ। সেদিন এক ভয়াবহ ও বিভতস একটি চিত্র দেখেছিলো বাংলাদেশ ও গোটা বিশ্ববাসী। বিএনপি নামক দলটির সন্ত্রাসী কর্মীদের হাতে অর্ধশত সাংবাদিক ও সংবাদকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। কিন্ত আশ্চর্যের বিষয় হলো সাংবাদিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কোন আন্তর্জাতিক সংগঠন বিবৃতি দেয়নি। পাশে এসে দাড়ায়নি।
৩. একটি রাষ্ট্রব্যবস্থা কতটা গণতান্ত্রিক, কতটা বিরুদ্ধমত সহনীয়, তা পরিমাপের মাপকাঠি গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। গণতান্ত্রিক চর্চাকে নিশ্চিত করতে হলে মতের বহুত্ব, পথের বিবিধতা, আচরণিক বৈচিত্র্যের প্রতি সম্মান দেখাতে হলে, গণমাধ্যমের মুক্ত ও নিরাপদ পরিসর অপরিহার্য। সমালোচনা বন্ধ হলে গণতন্ত্র সৌন্দর্য হারাবে, বিকল্প তথ্যপ্রবাহ চালু হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাবে। তাই সরকার শুধু ভিন্নমতকে সহ্য করবে তা নয়, প্রতিস্পর্ধী কণ্ঠকে নিরাপত্তাও দেবে। গণতন্ত্রের এই প্রহরীকে (ওয়াচ্ ডগ) রক্ষা করা জীবন্ত (ভাইব্র্যান্ট) সমাজের অস্তিত্বের জন্য ভীষণ জরুরি। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, সামরিক, ধর্মভিত্তিক এমনকি গণতান্ত্রিক সরকারও কখনও কখনও মুক্তচিন্তার প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করেছে। অগণতান্ত্রিক চিন্তার বিকাশকে উৎসাহিত করেছে, ফ্যাসিস্ট শক্তিকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছে। ১৯৭৫ সালে সপরিবারে জাতির পিতাকে হত্যার পর সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রকে কালিমালিপ্ত করা বা প্রতিক্রিয়াশীল সাম্প্রদায়িক মতাদর্শের উত্থানকে নিরুৎসাহিত করায় গণমাধ্যমের ভূমিকাকে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় মনে হয়েছে। অথচ বিজ্ঞানমনস্ক ও যুক্তিবাদী সামাজিক মনস্তত্ত্ব নির্মাণে গণমাধ্যমের প্রত্যক্ষ অবদান থাকবে- এটি ছিলো কাম্য, প্রত্যাশিত ও কাঙ্ক্ষিত।
৪. আমরা সবাই কম বেশি কতিপয় মিডিয়ার তথ্যদাস। তারা যে সংবাদ বা নিউজ পরিবেশন করে আমরা তাই দেখি।ডে নিউজকে গুরুত্ব দেয় আমরা তাই নিয়ে স্ট্যান্ড নিই, তা নিয়ে চিৎকার করি, সোস্যাল মিডিয়ায় ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া জানাই। স্পটে না থেকে কতিপয় মিডিয়ার এডিটোরিয়াল পলিসিনির্ভর সংবাদ দেখে আমরা কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিই। আবার অনেক সময় অপছন্দের মিডিয়ার তথ্যকে বাতিল করি, যদিও তা সত্য হয়। নিজের পছন্দের মিডিয়ার তথ্যকে আসমানী বাণী ভেবে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করি। অনেক সময় ফেসবুকে বিভিন্ন পোস্টের উপর ভিত্তি করে একটি সিদ্ধান্তে আসি, অনেক সময় ফেসবুকে মতমোড়ল হিসেবে পরিচিতদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে তর্ক-বিবাদ করি। মূলধারা বা বিকল্প যেটা হোক ওরা অদৃশ্য জাদুর গুলি বা ম্যাজিক্যাল বুলেটে আমাদের ঘায়েল করে চলছে।
৫. মানুষ যত বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হচ্ছে তত বেশি গণমাধ্যম তার উপর প্রভাব ফেলছে। ফলে অডিয়েন্স কী বা কীভাবে ভাববে এটা যেমন ঠিক করে দিচ্ছে সংবাদ মাধ্যম, কী পরবে বা কী খাবে সেটি ঠিক করে দিচ্ছে বিনোদন মাধ্যম। ‘গণ’ থাকলেও গণমাধ্যমের মালিকানা ব্যবসায়ীদের হাতে। তারা মুনাফাকেন্দ্রীক কনটেন্ট দিয়ে একটি আত্নকেন্দ্রীক প্রজন্ম তৈরি করছে। বই-পুস্তক বিমুখ এই ভিজুয়াল মিডিয়ানির্ভর প্রজন্মকে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট করে তোলা বেশ সহজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে উত্তর-সত্য মনোভাব যে জন্ম নিচ্ছে এটির কারণ পারিবারিক ও নিকটস্থদের আদর্শ।
৬. মিডিয়ার পিছনে যে মানুষগুলো রয়েছে ওদের নিজস্ব এজেণ্ডা থাকে প্রতিটি কনটেন্ট প্রচারের পিছনে। মালিকের আদর্শ সবচেয়ে প্রভাবশালী। তারপর বিজ্ঞাপন দাতা। বাংলাদেশে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের কাঁধে বন্দুক রেখে দায় সারতে চায় সাংবাদিকেরা। নিজেরা নিজেদের উপর সেন্সর আরোপ করে। যেমন ধরুন, একটি সংবাদে কোন একটি দেশ বাংলাদেশের উপর সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কর্তৃত্ববাদী আচরণ করছে এটা আছে৷ তো হেড অব নিউজ বা বার্তা প্রধান বা সাংবাদিক নিজে এই নিউজকে হত্যা করবে। সে বলবে এ সংবাদ দরকার নাই ইত্যাদি, কারণ কোন পক্ষ রেগে যেতে পারে। আবার মালিকের মনের মত নিউজ হলে সেই অনুসন্ধানে হুমড়ি খেয়ে পড়ে সাংবাদিকেরা।
৭. উন্নয়ন ও গণমাধ্যম- এ দু’টি শব্দের উপস্থিতি অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। একটি অপরটি ছাড়া ভারসাম্যহীন। গণতন্ত্র, সুশাসন ও উন্নয়নের সাথে গণমাধ্যমের নিবিড়তম সম্পর্ক রয়েছে। গণযোগাযোগ ও অবাধ তথ্যপ্রবাহকে উপেক্ষা করে জাতীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতি শুধুই কল্পনাবিলাস বৈ আর কিছু নয়। আর নিয়ন্ত্রিত ও শৃঙ্খলিত সংবাদ মাধ্যম কোন জাতির জন্য মোটেই ইতিবাচক নয়। সার্বিক দিক বিবেচনায় আধুনিক গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে। মূলত সংবাদপত্র আর সংবাদকর্মীর মাধ্যমে জনগণের আশা-আকাক্সক্ষা, চাহিদা, জনমত সৃষ্টি ও সমাজের ভালোমন্দের প্রতিফলন ঘটে। তাই আধুনিককালে গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতাকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতিভুও বলা হয়।
৮. গণমাধ্যমকে বলা হয় সরকারের পাহারাদার। কোথায় কী ভুল বা অসংগতি হচ্ছে তা সরকারকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় এই গণমাধ্যম। তাই তো গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ অঙ্গ বা ‘ফোর্থ স্টেট’। গণমাধ্যম বা সাংবাদিকদের এই সাহসী ভূমিকার কারণে পৃথিবীর অনেক দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির খবর প্রকাশ্যে আসে। যেমন ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি, পেন্টাগন পেপার্স, বফোর্স কেলেঙ্কারি ইত্যাদি বড় বড় অপরাধের হদিস এই সাংবাদিকরাই দেন। কোটি কোটি টাকা লোপাটকারীদের ধরিয়ে দেন সাংবাদিকরাই। দুর্নীতির ইতি টানতে গণমাধ্যমের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার যেখানে স্বীকৃত, সেখানে তার অপব্যবহার হতেও পারে। তবু সেই অধিকার থেকে কাউকে বঞ্চিত করা যাবে না।
৯. প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জড়ানোর জন্য আমেরিকা মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে জার্মানবিরোধী ব্যাপক প্রচারণা চালায়। যার ফলে সে দেশের জনগণের মধ্যে জার্মান ঠেকাও উন্মাদনা সৃষ্টি হয়। সৈন্যদের মধ্যে স্বদেশ রক্ষার উন্মাদনা সৃষ্টি করা হয়। মূলত এখানে জার্মানি শাসকদের চেয়ে প্রত্যেক জার্মানিকেই হত্যা করার লাইসেন্স আদায় করা হয়। যেন হত্যার অপরাধ গায়ে না লাগে। তেমনিভাবে ভিয়েতনাম যুদ্ধের সময় মিডিয়াকে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ ভিয়েতনামীদের রক্ষা করার জন্য আমেরিকার হামলা করা দরকার, এ বিষয়ে আমেরিকার জনগণের মনে আবেগ সৃষ্টি করা হয়।
চীনের কর্র্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে পশ্চিমা ও আমেরিকার গণমাধ্যমের তথ্যের সঙ্গে চীনা সংবাদমাধ্যম ও চীনপন্থি দেশগুলোর গণমাধ্যমের সংবাদ পরিবেশনের দ্বন্দ্ব লক্ষণীয়। ২০১৮ সালে রাশিয়া ও তুরস্কের জাতীয় নির্বাচনের কথাই ধরা যাক। রাশিয়া ও তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে নির্বাচন নিয়ে যে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, তার সঙ্গে পশ্চিমা ও আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তথ্যের সঙ্গে মিল নেই।
১০. ২০২৩ সালে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমের ওপর কমেছে মার্কিনিদের আস্থা। মার্কিন জরিপ সংস্থা গ্যালাপের জরিপ বলছে, মার্কিন গণমাধ্যমের ওপর একেবারেই বিশ্বাস নেই ৩৯ শতাংশের। যা গেল ৫১ বছরের জরিপের মধ্যে সর্বোচ্চ। ১৯৭২ সালে এটি ছিল মাত্র ৬ শতাংশ। ২০১৮ সালেও ২৪ শতাংশ মানুষ অবিশ্বাস করতেন মার্কিন সংবাদকে। এরপর থেকে প্রতিবছর এই আস্থাহীনতা শুধু বাড়ছেই।
হামাসের ঘাঁটি নির্মূলের নামে গেল দুইমাস ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরায়েল। তবে এর খবর পরিবেশনে বস্তুনিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি বেশিরভাগ মার্কিন গণমাধ্যম। দ্বিচারিতা আর ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে নিউইয়র্ক টাইমস, সিএনএনের মতো গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে। এমনকি অনেক গণমাধ্যমকর্মীও হতাশা জানিয়েছেন। নিজ দেশের গণমাধ্যমের ওপর ভরসা হারাচ্ছেন মার্কিনিরাও। গণমাধ্যমে মার্কিনিদের বিশ্বাস কতটুকু, এ নিয়ে প্রতি বছর প্রতিবেদন প্রকাশ করে মার্কিন জরিপ সংস্থা গ্যালাপ।
১৯৭২ সালে জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে নাগরিকরা মার্কিন গণমাধ্যমে এত কম আস্থা দেখেছিল ২০১৬ সালে। সে বছর ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ার পর বৃদ্ধি পায় সংবাদের সত্যতা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক। কলিনস ডিকশনারির মতে, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ উচ্চারিত শব্দও ছিল- ভুয়া সংবাদ।
তবে আংশিক আস্থার কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ শতাংশ নাগরিক। গ্যালাপ জানায়, গণমাধ্যমের ওপর ডেমোক্র্যাট সমর্থকদের আস্থা রিপাবলিকান দের চেয়ে বেশি। তবে তরুণ ডেমোক্রেটদের ক্ষেত্রে ক্রমেই কমছে এ আস্থা। এদিকে সম্প্রতি আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যেভাবে ছাত্রদের নিপীড়ন করা হচ্ছে তা নিয়েও সঠিক কোন চিত্র তুলে ধরছেনা মার্কিন গণমাধ্যমগুলো। এসব ঘটনার সঠিক চিত্র জানতে মার্কিনীদের আস্থা আলজাজিরা বা মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক গণমাধ্যমের ওপর।
তাই মুক্ত গণমাধ্যমসূচক বলেন বা অন্য যাই বলেন প্রত্যেকেই চায় নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে। আমেরিকায় গত নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হারের পর তাকে যেভাবে হেনস্থা করা হয়েছে তা বিশ্ববাসীর অজানা নয়। এখন তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মুক্তগণমাধ্যমের কথা শুনলে বড়ই হাসি পায়।
লেখক : সাংবাদিক।