লোহাগড়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি-গাছপালা বিদ্যুতের তার ও খুটিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

0
17

রেজাউল করিম, লোহাগড়া
নড়াইলের লোহাগড়ায় বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে অর্ধ শতাধিক বসতঘরের টিনের চাল উড়ে গেছে, গাছপালা পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে,কয়েক শতাধিক গাছপালা বেঙ্গে গেছে। ঝড়ের পর থেকে গত ২৪ ঘন্টায় উপজেলার রায়গ্রাম ,কলাগাছী, গন্ডব,আড়পাড়া, জয়পুর,আড়পাড়া, নোয়াগ্রাম, শামুকখোলা,মাধবহাটি,শালনগর, রামকান্তপুরসহ কয়েকটি গ্রামের বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন রয়েছে। শুক্রবার সরজমিন আড়পাড়া গ্রামে গেলে রেখা বেগম জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ঝড়ে দুটি গাছ ভেঙে তাদের ঘরের ওপর পড়ে ঘরটি চুরমার হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধলু মিয়া বলেন,বিকালের ঝড়ে তাদের গ্রামে বিভিন্ন প্রকার গাছ পড়ে অনেক লোকের ঘর ভেঙে গেছে। গন্ডব গ্রামের আলী আকবর জানান, বাড়ির পাশে বড় আম গাছ পড়ে বৈদ্যুতিতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান বলেন, গতকাল বিকালের কাল বৈশাখী ঝড়ে ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার ছেড়া ও খুটি ভেঙ্গে পড়ে বিদ্যুৎ বিছিন্ন হয়ে পড়ার পর লোহাগড়া ও নড়াইলের পল্লী বিদ্যুৎ অফিস উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ লাইন চালু করতে পারলেও এখনও প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংযোগ চালু করতে পারেনি। এ ব্যাপারে লোহাগড়া পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এটিএম তারিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের লোকজন মধ্যরাত পর্যন্ত কাজ করে গুরুত্বপূর্ন জায়গায় বিদ্যুৎ চালু করেছে। ভাঙ্গা পোলের স্থানে নতুন পোল স্থাপন করে বাকী সংযোগ চালু করার চেষ্টা চলছে। লোহাগড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইসরাফিল আলম জানান,কালবৈশাখী ঝড়ে এলাকায় ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের কাজ চলছে,তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যায়নি।