প্রতিদিনের ডেস্ক:
রাজধানীর উত্তরায় যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজশাহী মুক্তিযুদ্ধ স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে পাশেই সপুরা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় অংশ নেন প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে হাজার হাজার মানুষ। এ ছাড়া পাইলট তৌকিরকে একনজর দেখতে তাদের ভাড়া বাড়ি, কবরস্থান এবং জেলা স্টেডিয়ামে শত শত নারীরা ভিড় করেন।এর আগে মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৫৫ মিনিটের দিকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে তার মরদেহ রাজশাহী ক্যান্টনমেন্টে আনা হয়। সেখানে আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৩টা ২০ মিনিটে ক্যান্টনমেন্টের পাশেই নগরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে ভাড়া বাসায় তার মরদেহ নিয়ে যান সেনা ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা।এ সময় শত শত উৎসব মানুষ বাড়ির সামনে ভিড় করে। কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।বাড়ি থেকে তার মরদহ জেলা মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয় সপুরা কবরস্থানে।গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হন স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগর। একই সঙ্গে ওই স্কুলের অনেক শিক্ষার্থীর হতাহতের ঘটনা ঘটে।সাগরের বাবা তহুরুল ইসলাম একজন ব্যবসায়ী। তার গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে। তবে প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনি রাজশাহী শহরে বসবাস করেন। তৌকির রাজশাহীর নিউ গভ. ল্যাবরেটরি স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে পাবনা ক্যাডেট কলেজে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। তিনি ওই কলেজের ৩৪তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে তিনি যোগ দেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে।

