এসকে সুজয়,নড়াইল
‘তেভাগা আন্দোলন’ নামে কৃষক আন্দোলনের অগ্রদূত এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক কমরেড অমল সেনের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বুধবার (১৭ জানুয়ারী) দুপুরে অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বিপ্লবী কমিউনিষ্ট লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নড়াইলের সীমান্তবর্তী যশোরের বাকড়ীতে অমল সেনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বিকেল ৩টায় কমরেড অমল সেনের সমাধি চত্বরে অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির আয়োজনে অমল সেনের জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ বিশ^াসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা শেখ হাফিজুর রহমান,মহিবুল্লাহ মোড়ল,অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম,বাংলাদেশ জাসদ নড়াইল জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট হেমায়েত উল্লাহ হিরু, প্রফেসর রবিউল ইসলাম,বীরমুক্তিযোদ্ধা এস.এ মতিন, অধ্যাপক মলয় নন্দী প্রমুখ। অমল সেন স্মৃতিরক্ষা কমিটির সভাপতি কৃষ্ণপদ বিশ^াস জানান, ‘কমরেড অমল সেনের ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার (১৭ ও ১৮ জানুয়ারী) দু’দিনব্যাপী স্মনোৎসবে বিভিন্ন আয়োজনের মধ্যে রয়েছে অমল সেনের সমাধিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন,আলোচনা সভা,কৃষক সমাবেশ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা,নৃত্য,সংগীতানুষ্ঠান,নাটক ও কবিগান।’ উল্লেখ্য,নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ জুলাই সদরের আউড়িয়ায় মামা বাড়িতে জন্মগ্রহন করেন। স্কুল জীবন থেকে মার্কসবাদী আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। তিনি নড়াইল ও যশোর অঞ্চলের কৃষকদের সংগঠিত করে তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। পাকিস্তান শাসনামলে তিনি বিভিন্ন সময় কারাবরণ করেন। ১৯৭১ সালের ২৭শে মার্চ মুক্তি পেয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন সংগঠিত করেন। ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারী এই নেতা ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন।