কালীগঞ্জে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়

0
6

সোহাগ আলী, কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছরের এস এস সি পরীক্ষায় বারবাজারে একটি কেন্দ্রের শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। কালীগঞ্জ উপজেলার হাট বারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় অনুষ্ঠিত ব্যবহারিক পরীক্ষা কেন্দ্রের কক্ষে দায়িত্বরত শিক্ষকরা ৫ টি স্কুলের প্রায় ৩৫০ জন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা হারে জোর পূর্বক আদায় করেন। শিক্ষার্থী জানায়, প্রতি বিষয়ের জন্য ৫০ টাকা করে জমা না দিলে স্যারেরা ফেল ফেল করিয়ে দেবে। আর টাকা দিলে নাম্বার সব দিয়ে দেবে। তাই আমরা টাকা দিয়েছি। হাটবারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ৫ টি স্কুল পরীক্ষা দিয়েছে ও গত দু,দিন বিভিন্ন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কেন্দ্রের অধিনে রোস্তম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়,শমশের নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়,বারবাজার মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ,বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিদ্যা নিকেতন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাষ্টভাঙা গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয়ে ৫০ টাকা করে শিক্ষকের নিকট জমা দেই বলে জানাই শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ,যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা কেন্দ্র ফিসের সাথে বহিরাগত ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক বাবদ প্রতি ছাত্র ছাত্রীর নিকট থেকে ব্যবহারিকের বিষয় প্রতি ৫ টাকা হারে ফি জমা দেন স্ব স্ব শিক্ষা প্রতিষ্টানের প্রধানগন ।শিক্ষা বিভাগের আইন অমান্য করে কেন্দ্র সচিব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে জোরপূর্বক ৫০ করে টাকা আদায় করেন। হাট বারবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কেন্দ্র সচিব রফিকুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের নিকট ব্যবহারিক বিষয়ে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন,সাংবাদিকদের সব দিকে খেয়াল দিলে চলে ? অনেক বিষয় ওভার লুক করতে হয়। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফারুক আহমেদ জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার কোন সুযোগ নেই ।বিষয়টি আমি এখনই দেখছি। কালীগঞ্জ উপজেলা এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইসরাত জাহানের সাথে এ ব্যাপারে কথা হলে তিনি বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই।