ফতেপুরে মাদক ব্যবসায়ীরা বেপরোয়া মারামারি করে ১০ জন হাসপাতালে

0
8

নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে হাত বাড়ালেই মেলে হেরোইন-ফেনসিডিল ও ইয়াবাসহ হরেক রকমের মাদক। মাদক-অস্ত্রের নিয়ন্ত্রণের ভার নিয়ে সারা জেলা দাপিয়ে বেড়ায় এসব উঠতি সন্ত্রাসীরা। বাদ নেই সদরের ফতেপুর ভায়না গ্রাম। গ্রামটির নিয়ন্ত্রণে থাকা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী। এসবের বিরুদ্ধে টু-শব্দ করলেই নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ। প্রায় প্রায় বাড়িঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। পরে দু’পক্ষই একে অপরকে দোষারুপ করে মামলা ও কাউন্টার মামলা করে পার পেয়ে যায়। স্থানীয়দের দাবি গ্রামটিতে মারামারি, সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। তবে আহতদের একজন জানিয়েছেন-বখাটেরা মেয়ে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ দিয়ে উদ্ধার করে আনার পর তারা হামলা করেছে। বৃহস্পতিবার ২৮শে মার্চ দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ভায়নার তারাগঞ্জ বাজারে প্রকাশ্যে মাদক সেবন ও বেচাবিক্রি হচ্ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন এলাকার বদরুল হায়দার নামে এক ব্যক্তির স্ত্রী রুপা আক্তার নামে এক চলির্শোর্ধ নারী। তাৎক্ষণিক বাঁশের লাঠি, হাতুড়ি ও লোহার রড হামলা শুরু করে দেয় মৃত: আ: হাকিম মোল্লার ছেলে সাইফুল, সাইফুলের ছেলে শাহিন ও শাকিলসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল মাদক কারবারী। তারা এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী নামে পরিচিত। রুপা বেগমকে মারপিটের ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মৃত হাকিম মোল্লার ছেলে শাহিন ও ওদুদসহ বেশ কয়েকজন। ঠেকাতে গিয়ে গুরুতর আহত হন রেহেনাসহ উভয়পক্ষের ১১ থেকে ১২ জন। তাদের মধ্যে নারী-পুরুষসহ ১০ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রামটি মাদক কারবারী কিশোর গ্যাংয়ের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। কোনো ভদ্রলোকের বসবাসের যোগ্য নেই গ্রামটি। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশয়ে এসব কিশোর গ্যাং বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। পুলিশ জানিয়েছে-বিষয়টির খোঁজ-খবর করা হচ্ছে। মাদক ও সন্ত্রাস নির্মূলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সোচ্চার রয়েছে।