রেকর্ডের রাতে রোনালদোকে সরিয়ে শীর্ষে মেসি

0
7

প্রতিদিনের ডেস্ক
লিওনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো যেন ফুটবলে আলাদা এক যুগই রচনা করেছেন। দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ফুটবল দুনিয়ায় রাজত্ব করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা দুই তারকা। আর্জেন্টিনার রোজারিও থেকে উঠে আসা মেসি আর পর্তুগালের মাদেইরার রোনালদো ফুটবল বিশ্বের প্রায় সব পরিসংখ্যানই নিজেদের করে নিয়েছেন। দুজনেই গোলমুখে অসাধারণ। রোনালদো জাত স্ট্রাইকার। ফুটবল ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গোলের মালিক তিনিই। আন্তর্জাতিক ফুটবলেও গোলের হিসেবে সবার ওপরে আছে তার নাম। মেসি যে খুব একটা পিছিয়ে আছেন তা নয়। রোনালদোর পিছু পিছু গোলের রেকর্ডে ছুটছেন তিনি। দুজনের ব্যক্তিগত দ্বৈরথে প্রায় সবখানেই রোনালদোকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। নিউ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এমএলএসের ম্যাচে জোড়া গোল করে আরও এক কীর্তিতে মেসি নিজেকে নিয়ে গেলেন অন্য উচ্চতায়। পেনাল্টিহীন গোলের হিসেবে পর্তুগিজ সুপারস্টারকে ছাড়িয়ে গিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন। ক্যারিয়ারে নিজের ৭২২ এবং ৭২৩তম নন-পেনাল্টি গোল করেছেন মেসি। বিপরীতে প্রায় দেড়শ ম্যাচ বেশি খেলা রোনালদোর পেনাল্টি ছাড়া গোলের সংখ্যা ৭২১টি। অবশ্য মেসিকে এত সহজেই রাজত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন না সিআরসেভেন। চলতি মৌসুমে আল-নাসরের হয়ে আরও ৬ ম্যাচ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। আর জাতীয় দলের হয়ে ব্যস্ত সূচি তো আছেই। মেসিও অবশ্য ব্যস্ত থাকবেন যুক্তরাষ্ট্রের লিগের ম্যাচে। মার্চ উইন্ডোতে আর্জেন্টিনার খেলা আছে। সঙ্গে কোপা আমেরিকাতেও থাকছেন এলএমটেন।
ক্লাব এবং লিগের হিসেবে এই তালিকায় মেসি এগিয়ে আছেন আগে থেকেই। সব ক্লাব মিলিয়ে মেসি পেনাল্টি ছাড়া দিয়েছেন ৬৪১ গোল আর রোনালদো করেছেন ৬১৩ গোল। লিগ হিসেবে মেসির পেনাল্টিহীন ৪৪৫ গোলের বিপরীতে রোনালদোর গোল ৪৩০টি। যদিও জাতীয় দলের হয়ে বেশ অনেকটা এগিয়ে রোনালদো। পর্তুগালের জার্সিতে পেনাল্টি ছাড়া ১০৮ গোল করেছেন রোনালদো। বিপরীতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির পেনাল্টিহীন গোল ৮২টি। ইউরোপের ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগেও মেসির চেয়ে ১০টি বেশি নন-পেনাল্টি গোল আছে রোনালদোর। একইদিনে অবশ্য গোলে-অ্যাসিস্টে অন্য এক রেকর্ডেও নাম লিখিয়েছেন মেসি। এমএলএসের চলতি মৌসুমে আজকের পর তার গোলসংখ্যা দাঁড়াল ৯–এ। ৭ ম্যাচের ৬টিতেই তিনি গোল পেয়েছেন। এছাড়া ৭ ম্যাচে সবমিলিয়ে ১৬ গোলে অবদান রেখেছেন মায়ামির প্রধান এই তারকা। যা মৌসুমের ৭ ম্যাচে সর্বোচ্চ গোলে ভূমিকা রাখার রেকর্ড বলে নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে মায়ামি।