ঝিকরগাছায় সহকারি শিক্ষক কর্তৃক নৈশপ্রহরীকে ভিটেছাড়া করার চেষ্টা

0
18

ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া জোনাব আলী খান (জে.কে) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারি শিক্ষক কর্তৃক নৈশপ্রহরীকে ভিটেছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার বাঁকড়া বাজারের জে,কে হাইস্কুল সংলগ্ন আলীপুর গ্রামে। এ ঘটনার বিচার চেয়ে ভুক্তভোগী আলীপুর গ্রামের মকছেদ আলীর ছেলে নৈশপ্রহরী আবু তালেব সরকারী সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন স্থানে অভিযোগসহ বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ঝিকরগাছা আদালত যশোরে মামলা করেছেন। মামলা সুত্রে জানাগেছে, বিদ্যালয়ের শৈপ্রহরীর চাকরী স্থায়ী করনের জন্য স্কুল আজ্ঞিনা সংলগ্ন নিজের বাস্ত ভিটার ফাঁকা যায়গা থেকে (বোনের অংশ) ১ শতক ৪৬ পয়েন্ট জমি একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমানের নিকট ১২লাখ টাকায় বিক্রি করেন। চাকুরী স্থায়ী করনের ৭লাখ টাকার মধ্যে বিক্রিকৃত টাকা থেকে ৩লাখ ৭০ হাজার টাকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন খাঁনের ব্যাংক একাউন্টে জমা রাখা হয়। কিন্তু স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে প্রধান শিক্ষকের রাজনৈতিক বিরোধের কারনে নৈশপ্রহরী আবু তালেবের চাকুরী স্থায়ীকরণ না হওয়ায় পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক উক্ত টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে আবু তালেব জানিয়েছেন। এদিকে সহকারি শিক্ষক জিয়াউর রহমান তার ক্রয়কৃত ১ শতক ৪৬ পয়েন্ট জমি নৈশপ্রহরী আবু তালেবের বাড়ির আজ্ঞিনার ফাঁকা স্থান থেকে না নিয়ে যেখানে ঘরবাড়ি রয়েছে সেখান থেকে নেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি আবু তালেব ফাঁকা যায়গা থেকে জমি নিতে বলায় সহকারি শিক্ষক জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী তহমিনা খাতুনসহ পরিবারের ৭/৮জন অনধিকার ভাবে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের জানালা-দরজা ভেঙ্গে দেয় এবং বাড়িটি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় ঠেকাতে গেলে নৈশপ্রহরী আবু তালেবের স্ত্রী ঝর্না বেগম, ছেলে সোহান ও মেয়ে ফারিহা খাতুনকে বেদম মারপিট করে। এছাড়া তিনটি কক্ষের সমস্ত মালামাল ভাংচুর করে এবং ঘরে থাকা বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা নিয়ে প্রায় ১৫লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ও বাঁকড়া বাজারের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছলে আসামী পিছু হাটে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসব ঘটনায় বাঁকড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র অভিযোগ গ্রহণ না করায় আবু তালেবের স্ত্রী ঝর্না বেগম বাদি হয়ে ৫জনকে আসামী করে জিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ঝিকরগাছা আদালত যশোরে মামলা করেছেন। যার নং সিআর-২৮। এ ব্যাপারে বাঁকড়া জে, কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিনের নিকট জানতে চাইলে নৈশপ্রহরী আবু তালেবের চাকুরী স্থায়ী করনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, জমি বিক্রির সময় তিনি সবকিছু জানতেন। দলিলে ঘরবাড়ির পাশ থেকে সহকারি শিক্ষক জিয়াউর রহমানের জমি রেজিষ্ট্রি উল্লেখ করা হয়েছে। সহকারি শিক্ষক জিয়াউর রহমান বলেন, জমি ক্রয়ের বিষয়টি প্রধান শিক্ষক হেলাল উদ্দিন অবগত। ঘরবাড়ির পাশ উল্লেখ করে দলিল করা হয়েছে। এখন শৈপ্রহরী আবু তালেব তার ক্রয়কৃত জমি-ঘরবাড়ি ছাড়ছে না। দলিল অনুযায়ী আইনের আশ্রয় না নিয়ে নিজেই আইন হাতে তুলে নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে সহকারি শিক্ষক বলেন, আমার জমি, আমার ঘরবাড়ি আমি দখলে নিচ্ছি। এখানে আইন হাতে তুলে নেয়ার কিছু নেই।